সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
সিলেট নগরীর হযরত শাহপরাণ থানার উত্তর বালুচরের সোনার বাংলা মসজিদের সামনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোঃ খছরু মিয়া নামে এক যুবকসহ ৩ জন ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলায় খছরু মিয়াসহ তিন জন আহত অবস্থায় সিলেট এম এ ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৪ মার্চ শনিবার বিকাল ১ টার সময়।
এ ঘটনায় আহত খছরু মিয়ার মাতা সুর্যবান বেগম (৪২) হযরত শাহপরাণ থানায় রনিসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫ জন জরিত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বালুচরের সোনারবাংলা এলাকার (মন্নান ডাক্তারের বাসার) মাসুম মিয়ার ও অভিযোগকারী সুর্যবান এর ছেলে মোঃ খছরু মিয়ার সাথে একই এলাকার বাচ্ছু মিয়ার ছেলে রনির সাথে পূর্বের বিরোধের জের রয়েছে। এরই জের ধরে গতকাল ৪ মার্চ বালুচরের সোনারবাংলা মসজিদের সামনে ভিকটিম মোঃ খছরু মিয়াকে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র ও সাথে থাকা একদল সন্ত্রাসী মিলে অভিযোগকারী সুর্যবান এর ছেলেকে প্রানে মারার চেষ্টা করে এসময় এসময় ওঁৎ পেতে থাকা আরো ৬-৭ জন তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।
পরে খছরু মিয়াকে রক্ষা করতে এগি আসলে ২ নং ও ৩ নং সাক্ষীকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর রক্তজমাট কালচে জখম করে।এর ফাকে ১ নং বিবাদী রনি তার হাতে থাকা ছাকু দিয়ে অভিযোগকারী সুর্যবান এর ছেলে খছরুকে আঘাত করতে থাকে ।খছরু নিজকে বাচাঁতে দুই হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে ছাকু দিয়ে ভিকটিম খছরুর দুই হাত আঘাত করে রক্তাত্ত করে।
এতে ছাকুর আঘাত খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে অন্যরা তাকে কিল-ঘুষি ও পা দিয়ে পাড়িয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা এ অবস্থা দেখে এগিয়ে আসলে তাদের ধমকানীতে রনি বাহিনী পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিম খছরু ও এগিয়ে আসা অভিযোগকারীর ২নং সাক্ষী খালেদ মিয়া ও ৩ ননং সাক্ষী ইয়াছমিন বেগমকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমান খছরুসহ তিনজন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে হযরত শাহপরাণ থানার এস আই অনুপ কুমার চৌধুরী জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনার যাচাই করে সত্যতা পয়েছি । এবং এ অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হয়েছে মামলা নং ৩ ।
এরপর ১নং আসামীকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে আজ বিকালে আদালতের মাধ্যমে আসামী রনিকে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।