সুরমা টাইমস ডেস্ক :
মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর (হিউম্যান প্যাসেজ) দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ ছিল উল্লেখ করে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না।
গতকাল সোমবার (২৮শে এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শেখবাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, মানবিকতার প্রয়োজনীয়তা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এ ধরনের সিদ্ধান্তে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
একক সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আমরা আরেকটা গাজার মতো পরিস্থিতি দেখতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা সংকটে জর্জরিত। এখন মানবিক করিডোরের নামে আরেকটি বড় সংকট তৈরি হতে পারে। এ বিষয়ে জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কারাগারে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, একটি ছোট ঘরে ইঁদুরের দৌড়াদৌড়ির মধ্যে রেখে আমাদের নেত্রীকে অসুস্থ করে তোলা হয়। এসবই শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশে হয়েছে।
ফখরুল বলেন, দেশের প্রকৃত উন্নয়ন করে সাধারণ মানুষ, লুটপাট করে একটি বিশেষ গোষ্ঠী। শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব পক্ষের সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারিনি, মন্তব্য করেন তিনি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে ফখরুল বলেন, আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভাই হিসেবে দেখি। কোনো সম্প্রদায়কে আলাদা করার রাজনীতি বিএনপি করে না।
আমরা চাই, সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করুক।
ঠাকুরগাঁওবাসীর দীর্ঘদিনের বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।
আমি পালিয়ে যাইনি, কখনো যাবও না। যতদিন বেঁচে থাকবো, ন্যায়ের পথে থাকবো।
দেশের স্বার্থে, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কর্তব্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা আপনাদের উচিত। নির্বাচনের সঠিক দিনক্ষণ ও সঠিক রোডম্যাপ দেন অতি শীঘ্রই। এদেশের মানুষ তাদের নিজস্ব সরকার দেখতে চায়।’