ধোপাগুলের হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থানের কথা চিত্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়া বাঞ্ছনীয় : কয়েস লোদী

সুরমা টাইমস ডেস্ক :

সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে গড়ে ওঠা হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান, কয়েক কোটি টাকার পাথর মিলে সিলেট জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র (১ম) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, এই পাথর মিল এলাকায় হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান স্থল।

 

ধোপাগুলে গড়ে ওঠা পাথর জোন ভাঙতে হলে আমাদেরকে অনেক দিক নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কারণ এমনিতেই সিলেটে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই, যদি এই পাথর মিলগুলো উচ্ছেদ করা হয় তাহলে হাজার হাজার শ্রমিক ও ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বে। তাই হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়া বাঞ্ছনীয়।

গতকাল বিকেলে ধোপাগুল সিলেট জেলা প্রশাসন কর্তৃক ধোপাগুল স্টোন ক্রাশার মিল উচ্ছেদ কালে ক্ষতিগ্রস্ত মিল পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীদের সাথে আলাপকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

এসময় এলাকাবাসী, পাথর মিল মালিক ও শ্রমিকরা বলেন, ধোপাগুল মহালদিক, আটকিয়ারি, লালবাগ ও ছালিয়া এলাকায় পাথর ব্যবসায়ীদের বহু স্টোন ক্রাশার মিল রয়েছে।

 

এসব মিলের মালিকগণ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করছেন। সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় তারা আমদানী করা বোল্ডার কিনে ব্যবসা করছিলেন। সুপ্রীম কোর্টের স্থগিতাদেশের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীগণ তাদের ক্রাশার ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।

 

সুপ্রীম কোর্টের আদেশ লংঘন করে গত ১৩ এপ্রিল জেলা কালেক্টরেটের ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এলাকার সবকটি ক্রাশার মিল ভেঙ্গে ফেলেন।

এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়। আবেদনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ লংঘন করে ব্যবসায়ীদের এহেন ক্ষতি সাধনের যথাযথ প্রতিকার দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।

এসময় উপস্থিত আরোও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ইলিয়াস আলী, সদর উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ আহমেদ, এয়ারপোর্ট থানা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সারোয়ার রেজা,

 

মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, মামুন আহমেদ মিন্টু, মো. নজরুল ইসলাম, ময়নুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কচির উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুবদল নেতা মনজুরুল করিম তুহিন, জেলা যুবদলের সহ-সাধারন সম্পাদক জুনেদ আহমেদ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মঈন উদ্দিন, খাদিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইদুর রহমান,

সহ-সভাপতি মানিক মিয়া, সুরমান আহমেদ, মুর্শেদ আহমদ, দপ্তর সম্পাদক আলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা সৈয়দ সালেহ আহমেদ শাহনাজ, বুলবুল মিয়া, ব্যাবসায়ী আব্দুল খালিক, বুলবুল আহমদ, সৈয়দ আব্দুল মতিন,

আজির উদ্দিন, রাজন আহমদ, কামাল উদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ছবর আহমেদ, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আজির উদ্দিন, সদর উপজেলা যুবদল নেতা আলি আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল হামিদ রানা সাইফুল ইসলাম নাছির উদ্দীন,

 

মাহবুবুর রহমান, রুবেল হোসেন, খসরুল আহমেদ, শিপলু আহমেদ, তুহিন আহমেদ রানা, আলাল উদ্দিন, রাজন আহমেদ রাজু, ছয়ফুল আহমদ, মানিক মিয়া, ইয়াকুব আলী, সাদেক আহমদ, আরিফ হাসান, কয়েস আহমদ,

মঞ্জুর আহমেদ, শিহাব উদ্দিন সুমন, সালেক আহমদ, রাকিব আহমদ, আজাদ, জাকির হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।