সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রীবেশে ভাড়ায় নেয় তারা সিএনজি অটোরিকশা। সাধুবেশে চড়ে আর ঝোপ বুঝে কোপ মারার ফন্দি আঁটে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রীবেশধারী চক্রটি অটোরিকশা চালকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। এভাবেই চলছে চক্রটির দৌরাত্ম।
অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়লো এই চক্রের ৮ সদস্য।
আটককৃতরা নগরীর উপশহর এলাকার ভাড়াটে এবং কানাইঘাট তালবাড়ী খারপাড় এলাকার বাবুল আহমেদের ছেলে মোঃ সাইফুল (২৮), কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ নাঈম (২৪), মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার মুসলিমবাগ গ্রামের সামান আলীর ছেলে মোঃ শওকত (২৮),
শাহপরাণ থানার বালুচর এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ওরফে মাইল্লা(৩২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার শ্রীঘর গ্রামের সালেক উদ্দিনের ছেলে সাদিউর রহমান সোহেল (২৮), একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ শুভ মিয়া (২২), হবিগঞ্জের লাখাইয়ের হরিনাকোনা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মোবাশ্বির আহমদ (২৪) এবং বুল্লা গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে এখলাছ (২৫)।
গত শুক্রবার (১৮ ইএপ্রিল) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই অটোরিকশার মালিক এয়ারপোর্ট থানার মেঘালয় চা বাগান এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে তজন মিয়া।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর মেজরটিলা বাজার এলাকা হতে যাত্রীবেশে ৫ জন তজন মিয়ার সিএনজি অটোরিকশা (রেজিঃ নম্বর-সিলেট-থ-১২-৯৩২০) ভাড়া করে দলদলি চা-বাগান এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে অটোরিকশা, একটি বাটন ফোন, নগদ ২ হাজার টাকা, রুপার চেইন, গাড়ির মূল কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়া পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ৩০শে ডিসেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন তজন মিয়া। যাহার মামলা নং- ১৫, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড। মামলার পর চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
তবে ঘটনার পর আসামীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একের পর এক আসামীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গত ২০শে মার্চ প্রথমে গ্রেফতার করা হয় সাইফুলকে। পরে তার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দীর্ঘ একমাস দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা সক্রিয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।