সুপার লিগে সুপার ফ্লপ মোহামেডান

সুরমা টাইমস ডেস্ক :

সুপার লিগ পর্বের প্রথম দিনেই ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই পূর্বাভাসই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।

ম্যাচ শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর শুরু হয় বৃষ্টি। তাতে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। আর মিরপুর শেরেবাংলায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মোহামেডান রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে। বৃষ্টি আইনে সহজ লক্ষ্য পেয়ে মাত্র ৮০ বলেই খেলা শেষ করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

বৃষ্টির বাগড়া ছিল বিকেএসপিতেও। সুপার লিগে লিগ পর্বের মতো জয় দিয়ে দুর্দান্ত শুরু করে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড।

 

অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে চার উইকেটের জয় পায় আবাহনী। লিগ শিরোপার পথে আরও এক ধাপ এগোল আবাহনী। এর আগে ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করেছিল দলটি।

 

সকালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

 

দলবদলে রূপগঞ্জ ছেড়ে মোহামেডানে যোগ দেওয়া তৌফিক খান তুষার করেন ২১ বলে ১৮ রান। তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে নেতৃত্ব পাওয়া রনি তালুকদার ফেরেন রানের খাতা খুলতে না পেরেই।

 

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা মোহামেডান পরিণত হয় ২৯.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৭ রানে। বেরসিক বৃষ্টির বাগড়ায় আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি তাদের।

 

চার ঘণ্টা বিরতির পর খেলা পুনরায় শুরু হলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে মাত্র ৯৩ রান। শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা খায় দলটি।

 

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই নাসুম আহমেদের বলে মিড উইকেটে তুলে মারতে গিয়ে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েন তানজিদ হাসান তামিম। তবে এরপর আর কোনো বিপদ হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার গড়েন ৯৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি।

 

৪৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সাইফ হাসান। সৌম্য ৩৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫২ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের সহজ জয় পায় রূপগঞ্জ।

 

অন্য ম্যাচে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে আবাহনী। বৃষ্টির আগে অগ্রণী করে ২৭ ওভার শেষে ১০৯/৩। এরপর চার ঘণ্টার বিরতিতে খেলা ফের শুরু হলে আবাহনীর সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে ১৫৭ রান। শুরুতেই ধাক্কা খায় আবাহনী।

 

পারভেজ হোসেন ইমন, শাহরিয়ার কমল—দলটির দুই ওপেনারই ডাক মেরেছেন। তবে পরিস্থিতি সামাল দেন মোহাম্মদ মিথুন ও তরুণ জিসান আলম। মাত্র ৭ ওভারেই দলীয় ফিফটি তুলে নেয় এই জুটি। মিথুন (১৮) ফিরলেও জিসান ও এসএম মেহরাব হোসেন চালিয়ে যান আক্রমণ।

 

মেহরাব ২৫ বলে ৩০ রান করে আউট হলেও পরের ব্যাটার মাহফিজুর রহমান রাব্বি ও শামসুল ইসলামের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলটি পায় সহজ জয়। ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে ১৬ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করেন রাব্বি।

 

চার নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ২৩.৩ ওভারে ৩ উইকেটে করে ১১০ রান। বৃষ্টির বাগড়ায় ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে গুলশান টাইগার্সের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে ১৬২ রান।

 

রান তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দুই ওপেনার আলিফ হোসেন ইমন ও মেহেদী হাসান। সাত ওভারের মধ্যেই দলীয় ফিফটি তুলে ফেলে গুলশান। তবে মিডল অর্ডারে ধস নামলে ম্যাচ আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামের ৩৩ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৩ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় গুলশান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।