সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সিলেটের মৌলভীবাজারে তরুণ আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যার তিন দিনের মাথায় রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ব্যাংকের এক সিকিউরিটি গার্ডকে হত্যার জন্য ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা চেহারার মিল দেখে ভুলবশত সুজনকে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১০ই এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী নাজির মিয়া মুজিবসহ (২৫) পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন মো. আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ সোহান (১৯), লক্ষ্মণ নাইডু (২৩) এবং আব্দুর রহিম (১৯)।
পুলিশ জানায়, মুজিবের সঙ্গে একই এলাকার অগ্রণী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহর পূর্ব বিরোধ ছিল। প্রতিশোধ নিতে লক্ষ্মণ নাইডুর মাধ্যমে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেন মুজিব।
মোবাইল ফোনে মিসবাহর ছবি পাঠিয়ে টার্গেট চিহ্নিত করতে বলেন। ৬ এপ্রিল রাতে শহরের গির্জাপাড়ার বাণিজ্য মেলায় ফুচকার দোকানে আইনজীবী সুজন মিয়াকে মিসবাহ ভেবে শনাক্ত করে হামলাকারীরা।
ভিডিও কলে দেখে মুজিব তাকে মিসবাহ মনে করে মারার নির্দেশ দেন। পরে সুজনের ওপর ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত চালালে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের পরপরই সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত চালিয়ে ১০ই এপ্রিল গ্রেফতার অভিযানে নামে। এর আগে ৮ই এপ্রিল নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা, ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি জাফর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী সুজন মৌলভীবাজার শহরতলীর পূর্ব হিলালপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় সাত বছর ধরে তিনি জেলা জজ আদালতে আইন পেশায় ছিলেন।
ছয় মাস আগে সুজন মিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তবে বউকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তোলা হয়নি।