সুরমা টাইমস ডেস্ক:
সিলেট বিএনপির সহ-সভাপতি, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম তারেক কালামের জানাজার নামাজ তার নিজ গ্রাম টুকেরবাজার ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩:৩০ মিনিটে জানাজা সম্পন্ন হয়, যেখানে হাজারো মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
একেএম তারেক কালামের মৃত্যুতে সিলেট বিএনপিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিএনপির নেতারা তাকে একজন নিবেদিতপ্রাণ ও সাহসী নেতা হিসেবে স্মরণ করেছেন।
জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, তারেক কালামের মৃত্যু সিলেট বিএনপির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি দীর্ঘদিন রাজপথে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ছিলেন দলের একনিষ্ঠ কর্মী।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শকে বুকে ধারণ করে তারেক কালাম দেশ ও দলের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।
তার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত হয়েছে এবং তিনি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, তারেক কালাম ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ, যিনি প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, সদর উপজেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে তারেক কালামের অবদান কখনো ভুলবে না সিলেটবাসী।
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইমরান আহমদ চৌধুরী,
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেটের পিপি এডভোকেট আশিকুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পরিবারের পক্ষ থেকে একেএম তারেক কালামের ছেলে এহতেশামুল হক সবুজ ও ইনজামামুল হক বক্তব্য রাখেন। জানাজার নামাজ পরিচালনা করেন হাফিজ ক্বারী জোনায়িদ আহমদ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে একেএম তারেক কালাম ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।