সুরমা টাইমস ডেস্ক:
গত অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে নারী ফুটবলারদের বিবাদের বিষয়টি সামনে এসেছিল। তারপরও এই কোচের সঙ্গে লম্বা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
চুক্তি অনুসারে ২০২৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাবিনাদের কোচ থাকবেন এই ব্রিটিশ কোচ।
কিন্তু কোচ পিটার বাটলারের অধীনে আর খেলতে রাজি নন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা। সে জন্য প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছে তারা।
যদি ব্রিটিশ এই কোচকে বহাল রাখে, তবে একযোগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ১৮ জন ফুটবলার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০শে জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সহ-অধিনায়ক মনিকা চাকমাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়রা।
তারা জানিয়েছেন, ‘পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করা কিংবা ম্যাচ খেলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি কোচকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হয়, তবে তারা জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবেন।
ইতোমধ্যেই তারা অনুশীলন ও জিম কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। যদিও বাফুফে কঠোর অবস্থানে ছিল এবং জানিয়ে দিয়েছিল যে, খেললে বাটলারের অধীনেই খেলতে হবে।
মূলত, গত অক্টোবরে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট চলাকালে কিছু নারী ফুটবলার কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে, তিনি সিনিয়র খেলোয়াড়দের পছন্দ করেন না।
সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর এক সিনিয়র ফুটবলার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, পিটার বাটলার কোচ থাকলে ক্যাম্পে উঠবেন তারপরও এই কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে বাফুফে।
এখন দেখার বিষয়, বাফুফে ও নারী ফুটবলারদের মধ্যে চলমান এই সংকট কীভাবে সমাধান হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন সভাপতি তাবিথ আওয়াল। আজ অবশ্য বাটলারের অধীনে ১২ জন ফুটবলার জিম সেশনে অংশ নিয়েছেন।