ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শ্রমিক দল নেতার সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে

সুরমা টাইমস ডেস্ক:

শ্রমিক দলের নেতাসহ এক নাবালিকাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসী। পরে লোকজন কাজি ডেকে তাঁদের বিয়ে পড়িয়ে দেন। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার দিবাগত রাতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের পাতারিয়াপাড়ায়।

অভিযুক্ত পাপুল মিয়া ওই গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

এ ছাড়া তিনি পবনাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি। ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অভিযুক্তের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, পাপুলের সঙ্গে ওই নাবালিকার সম্পর্ক চলছিল। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাপুল তাঁর বাড়ির কাছে দেখা করতে যান।

এ সময় এলাকাবাসী তাঁদের দুজনকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁদের একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেন তাঁরা।

খবর পেয়ে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম, ওয়ার্ড সদস্য খায়রুল আলম সরকার, সজিব মণ্ডল ও সোহেল শেখ ঘটনাস্থলে হাজির হন।

তাঁদের উপস্থিতিতে এলাকাবাসীর চাপে দুজনের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।

পরে কাজি শহিদুল ইসলামের প্রতিনিধি এসে দুই লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে রাত ১২টার দিকে তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।

 

জানতে চাইলে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম বলেন, ‘খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই।

সেখানে এলাকাবাসীর চাপে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় বিষয়টি অবগত করতে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইয়াসা রহমান তপাদারকে ফোন করি।’

‘তিনি ফোন রিসিভ না করায় পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টুর সঙ্গে কথা বলি। উনি বিষয়টি এলাকাবাসীর ওপর ছেড়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরামর্শ দেন।’

এরপর বিয়ে রেজিস্ট্রির আগেই ইউপি সদস্যদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে জানান।

এদিকে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে রেজিস্ট্রার বিষয়ে কাজি শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার পরিবর্তে আমার ছেলে রাতে সেখানে গিয়েছিল।

 

নাবালিকা মেয়ের বিয়ে রেজিস্ট্রির কোনো সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ অন্যদিকে, তাঁর ছেলে কানান মিয়া বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।