সুরমা টাইমস ডেস্ক : সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ ৯ আওয়ামী লীগের নেতা ও আমলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক: সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। গত ৬ই অক্টোবর রাতে মো. নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২০১৫ সালে পরিবেশ ও বন সচিব থেকে নজিবুর রহমানকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, যুগ্ম কর কমিশনার কে এম শামসুজ্জামান, সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। গত অক্টোবরে ভুয়া পে-অর্ডারে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের দুই ছেলের ৫০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে সাদা করার দায়ে এই তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।
বিআরটিএ’র একটি প্রকল্পে ১৩৭টি বাস কেনা নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধান: সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পরিবহন বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
ঢাকা ১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুরের ৭০০ একর সরকারি খাস জমি দখল, অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ যথাযথ ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া ও ঋণ নিয়মাচার না মেনেইজাল জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকটির গুলশান শাখার গ্রাহক রুমুন ট্রেডিং লিমিটেড, এক্সিস বিজনেস লিমিটেড এবং প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহক, এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ, গ্লোয়িং কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, ভিস্তা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও স্কাইমার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনুকূলে ১ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।(সুত্র -মানব জমিন)