দুর্নীতির আঁতুড় ঘর গোয়াইনঘাট উপজেলা ‘এলজিইডির প্রকৌশলীর অফিস’

প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের অপকৌশলের নিকট জিম্মি গোয়াইনঘাটের ঠিকাদাররা:-

দূর্গেশ সরকার বাপ্পী( গোয়াইনঘাট থেকে ):-

দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিনত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা ‘এলজিইডির প্রকৌশলীর অফিস’

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম অপকৌশলের নিকট জিম্মি ঠিকাদাররা,

দিনভর অফিসে বাকবিতন্ডা এক পর্যায়ে অফিস ঘেরাও করে অপসারণ দাবী ঠিকাদারাদের।

প্রকৌশলী অফিসার রফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে কথা বললেই এবং অনৈতিক সুবিধা না পেলেই ঠিকাদারদের হতে হয় নানান হেনেস্তার শিকার।

 

ঠিকাদারদের অভিযোগের অন্ত নেই প্রকৌশলীর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত রবিবার ( ১০ই নভেম্বর ) দুপুরে হঠাৎ গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী অফিস কার্যালয়ের সামনে ঠিকাদারদের তোপের মুখে পড়েন উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার রফিকুল ইসলাম।

 

গোয়াইনঘাট উপজেলা কমপ্লেক্সে বিভিন্ন অফিসে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত প্রতিনিধিরা নিজেদের কাজ করছিলেন এমন সময় উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার রফিকুল ইসলামে কক্ষের সামনে গণ্ডগোলের খবরে উপস্থিত হলে ঠিকাদার সুজন মিয়া ও লোকমান চেয়ারম্যান উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন।

 

ঠিকাদার সুজন মিয়া বলেন উপজেলা প্রকৌশলী দীর্ঘদিন থেকে ঠিকাদার ও সাইড ঠিকাদারদের সাথে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন।

 

উনার বিরুদ্ধে পাহাড় পরিমান অভিযোগ রয়েছে এবং তিন থেকে চার বার প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের বদলী হলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে বহাল তবিয়তে তিনি এখনো আছেন গোয়াইনঘাট উপজেলায়।

তিনি তার মনগড়ামতো কাজও করে থাকেন। ঠিকাদার সুজন মিয়া আরো বলেন আমরা প্রকৌশলী অফিসার রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহার চাই এবং একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার চাই।

 

এসময় উপস্থিত ঠিকাদার লোকমান চেয়ারম্যান বলেন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে,

আমরা ঠিকাদাররা প্রকৌশলী অফিসার রফিকুল ইসলামের কাছে জিম্মি আছি।

 

ভালো ভালো সাইড ইঞ্জিনিয়ার এখানে এসে টিকে থাকতে পারে না বদলী হয়ে যায় কারণ প্রকৌশলী অফিসার রফিকুল ইসলামের মনমত চলতে হবে ও অনৈতিক সুবিধা দিতে হবে, না হয় বদলি তদবির করেন তিনি।

 

নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের  দিয়ে কাজ করে ঘুরান এবং নিজে কমিশন নেন।

ঠিকাদারদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা বা কমিশন না পেলেই কাজ শেষে বিল নিয়ে অযথা ঘুরাঘুরি করান তিনি,তুলেন কাজে অনিয়মের অযুহাত । আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।

 

প্রকৌশল অফিসের একজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন প্রকৌশলী রফিকুল স্যার প্রতিদন সিলেট থেকে রিজার্ভ সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে অফিস করতে আসেন যার ভাড়া দৈনিক এক হাজার টাকা।

প্রতি মাসে গড়ে ২০/২২দিন অফিস করতে হয়। তিনি অনৈতিক সুবিধা না পেলে চলেন কি করে?

 

পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তনি ফোন রিসিভ করার পর এসব অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

 

উক্ত বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহি অফিসার তৌহিদুল ইসলাম বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে যাচাই বাঁচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।