অপ্রতিরোধ্য গোয়াইনঘাটের শীর্ষ চোরাকারবারি শ্যামকালা আল-আমীন সিন্ডিকেট

বিশেষ প্রতিবেদক ::

 

সিলেট সীমান্তে চোরাচালান সব সময় লেগেই থাকে। তবে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট সীমান্তের ২ নং পশ্চিম জাফলংয়ে চোরাচালানীরা এবার সম্পূর্ণ বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। একাধিক গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদেও টনক নড়ছে না স্থানীয় প্রশাসনের ।

এজন্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে গোয়াইনঘাটের শীর্ষ চোরাকারবারি শ্যামকালা আল-আমীন সিন্ডিকেট

রাত নামলেই গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নং পশ্চিম জাফলং সীমান্ত দিয়ে খরস্রোতে নদীর কচুরিপনার মত ভেসে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় কসমেটিকস,গরু মহিষ, চিনিসহ চোরাই বিভিন্ন পন্য।

কসমেটিকসের চোরাচালান অন্য সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়ে জমজমাট আকার ধারণ করেছে।

পাশপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে লাইনম্যান খ্যাত শ্যাম কালা ও আলামিন বুলবুল ও আজাদের মতো তালিকাভুক্ত চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২ নং পশ্চিম জাফলং সোনারহাট বিজিবি ক্যাম্পের অসাধু কিছু বিজিবি সদস্যদের কে ম্যানেজ করে লামাপুঞ্জির খোকা ও মাখাই উপজাতির প্রভাব খাটিয়ে তারা লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক।

পাশ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়া রাজ্যের খাসিয়া শ্রীপুর হয়ে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাত অবিরাম আসতে থাকে গরু,মহিষ,চিনি,শাড়ী, থ্রি পিস, কসমেটিকস ও অন্যান্য অবৈধ ভারতীয় পন্যের চালান।

 

সিলেটের শীর্ষ চোরাকারবারি আলামিন ও শ্যাম কালা সিন্ডিকেট সারা দিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যার আগেই ইলেকিট্রক টর্চলাইট হাতে নেমে পড়ে মাঠে।

 

রাতভর চোরাকারাবারিদের লাখ লাখ টাকার ঘুষের লেনদেন হয় স্থানীয় প্রশাসনের লাইনম্যান খ্যাত শীর্ষ চোরাকারবারি আলামিন ও শ্যাম কালার সাথে।

 

মোট কথা জাফলং সোনারহাট সীমান্ত হচ্ছে আল আমিন ও কালা সিন্ডিকেটের চোরাচালানের প্রধান করিডোর।

 

স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে হাদারপার বন্ধ হওয়ার কারনে গোয়য়াইনঘাট থানাধীন ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সোনারহাট সীমান্তই হচ্ছে চোরাচালানীদের প্রধান করিডোর।

 

বিজিবি কর্তাদের মনোনীত লাইনম্যান আলামিন ও শ্যাম কালা রাতভর বখরা আদায় করে থাকে।

 

আলামিন ও শ্যাম কালা প্রতিটি ভারতীয় কসমেটিকস ও অন্যান্য পন্য থেকে তাদের নির্দিষ্ট অংকের টাকা চোরাকারকারিদের কাছ থেকে আদায় করে থাকে।

 

এ ভাবেই প্রতিরাতে এই সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকার বখরা আদায় করে তাদের কমিশন নিয়ে থাকে।

 

অভিযোগে প্রকাশ, গোয়াইনঘাট থানাধীন ২ নং পশ্চিম জাফলং সীমান্তে বিজিবি, ডিবি পুলিশের লাইনম্যান খ্যাত ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাতিরখাল গ্রামের শ্যামকালা, ইউনিয়নের লক্ষণছড়া গ্রামের আল-আমিন,।বুলবুল ও আজাদ সহ তাদের একটি সিন্ডিকেট।

বিগত ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতন হলেও থেমে নেই শ্যামকালা,আল আমিন সিন্ডিকেটের চোরাচালান বানিজ্য।

 

বিগত দিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শীর্ষ চোরাকারবারি শ্যামকালা ও আল-আমীনের নেতৃত্বে চোরাচালান বানিজ্য শিরোনামে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে ও টনক নড়ছে না স্থানীয় প্রশাসনের।

 

এব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন আপনার অভিযোগটি সত্য।

শ্যাম কালার নাম আমি শুনেছি তাকে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।