সাবেক আইজিপি সুনামগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৮ দিনের রি মান্ডে

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও নিউমার্কেট এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক সাত মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৩৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বিভিন্ন মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এদিন মামুনকে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ীর থানার পৃথক ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। অপরদিকে নিউমার্কেট থানার এক হত্যা মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। রাষ্ট্র পক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী সহযোগিতা করেন এবং প্রত্যেক মামলায় সর্বোচ্চ রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তাকে এর আগে ১৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু পাওয়া যায়নি, এত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন তাকে হয়রানি করতেই করা হয়েছে। এ সময় তারা মামুনের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। সাবকে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও শহীদুল হককে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গ্রেফতার করে। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই সরকারে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। সরকার পতনের পরদিন তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ তথা অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর গ্রেড-১ পদোন্নতি পান। চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করে গত বছরের ১১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও দেড় বছর পুলিশের সর্বোচ্চ পদে থাকেন। ফলে বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় তিনিই ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।