প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন, কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না : খন্দকার মুক্তাদির

সিলেটে বিএনপির মিছিলে পুলিশের হামলা, আটক ৪

শনি ও রোববার হরতালের সমর্থনে নগরীতে মিছিল বের করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।

বিএনপির ডাকে আাগামী শনিবার ও রোববার হারতাল সফল করতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে হামলা করেছে পুলিশ। হামলায় বিএনপির অন্তত ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় মিছিল থেকে ছাত্রদলের ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বাদ জুমআহ আগামী দুই দিনের হরতাল সফল করতে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।

জুমআহ’র নামাজের পর আম্বরখানা পয়েন্টে সমাবেশ করে বিএনপি। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, সরকার নির্বাচনের নামে কিছু জোকারদের দিয়ে সার্কাস করছে, জনগণের শত শত কোটি টাকা বিনষ্ট করছে। বাস্তবে দেশে কোন নির্বাচন হচ্ছেনা, নির্বাচনের নামে মজলুম জনতার সাথে প্রহসন চলছে। চরম বাস্তবতা হচ্ছে এই নির্বাচনে আওয়ামী ছাড়া আর কেউ অংশ নিচ্ছে না। দেশের গণতন্ত্রকামী মজলুম জনতার সাথে এই নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। তাই আগামী রোববার এই ডামী নির্বাচন বর্জন করুন, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। কারন তাদের নিজেদের কামড়া কামড়িতে আপনার প্রাণও যেতে পারে। যতদিন পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হবে, তত দিন পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা লর জন্য বিএনপির নেতৃত্বে মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করছে। এর মধ্যেই নিজেরা গৃহপালিত প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে দেশকে বাঁচতে হলে এই নির্বাচনকে বর্জন করতে হবে, গণতান্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই আসুন আমরা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থেকে হরতাল পালন করি। সময় ঘনিয়ে এসেছে, গণতন্ত্রের বিজয় অতি নিকটে।

এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), মিফতা সিদ্দিকী, শাহাব উদ্দিন আহমদ, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, এড. হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, সাদিকুর রহমান সাদিক, শেখ কবির আহমদ, আব্দুল হাকিম, মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, নেওয়াজ বক্ত তারেক, সুয়াইব আহমদ সোয়েব, নাদির খান, মন্জুরুল হাসান মন্জু, এড. সাঈদ আহমদ, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, খায়রুল ইসলাম খায়ের, তারেক খান, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোঃ বাচ্চু মিয়া, তাজ উদ্দিন মাসুম, তফাজ্জল হোসেন বেলাল, সবুর আহমদ খান, মিজান আহমদ, সেলিম আহমদ সেলু, জালাল খান, মাহবুব আলম, আহাদ চৌধুরী শামীম, মাসুম ইবনে রাজ্জাক রুমেল, আজিজুল হোসেন আজিজ, মির্জা সম্রাট, মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, রুবেল বক্স, মিনহাজ পাঠান, শাহীন আলম জয়, ডাঃ নাজিম উদ্দিন, আহমদ সোলায়মান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, মিছবাহ আহমদ জেহিন, আকবর আলী, আলী হায়দার মজনু, সোলেমান আহমদ সুমন, আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, ফয়সাল আহমদ, রাসেল আহমদ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে হরতাল সফল করতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ মিছিলে বাঁধা দেয়। ব্যাপক পুলিশী বাঁধা উপক্ষা করে মিছিলটি এগুতে থাকলে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে আসা মাত্র পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় পুলিশের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ মিছিল থেকে সিলেট জেলা বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক জালাল খান, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী ও সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা আলী হায়দার মজনু সহ ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।