‘আমরা চাইব ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হোক’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমরা চাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হোক। প্রধানমন্ত্রী যে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চান, সেটাকে সাহায্য করার জন্য তারা তাদের ভিসা নীতি প্রচলন করেছে।
আজ শনিবার (২৭শে মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, তারা আমাদের বলেছে, প্রধানমন্ত্রী যে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চান, সেটাকে সাহায্য করার জন্য তারা তাদের ভিসা নীতি প্রচলন করেছে। আমরা চাইব এ ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হোক।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা তথা সার্বক্ষণিক পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সরকার। কিন্তু রাষ্ট্রদূতদের এসকর্ড সুবিধা ফেরত দেয়া হচ্ছে বলে যে খবরটি শোনা যাচ্ছে, তা গুজব এবং ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি নেই, কখনও ছিল না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তাছাড়া, কোনো দেশেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয় না। তবে বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এসকর্ট হায়ার (ভাড়া) করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নিতে পারবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে যারা একবার জ্বলেছে, তাদের চেহারা দেখলে বড় দুঃখ পাবেন। আমরা আর জ্বালাও-পোড়াও চাই না। ২০১৪ সালে তারা ৩৮শ’ যানবাহন জ্বালিয়েছে, বগি জ্বালিয়েছে, স্টিমার জ্বালিয়েছে। এখন যদি জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, দ্যট উড বি আ ব্লেসিং। যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, তাদের সতর্ক হওয়া দরকার, তাদের নেতাদের সতর্ক হওয়া দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার। সেই ইনস্টিটিউশন (প্রতিষ্ঠান) ডেভেলপ (উন্নত) করেছি। আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব।
মন্ত্রী বলেন, এই দেশে যারা ভোটারবিহীনভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের দু-তিন মাসের মধ্যে জনগণ ফেলে দিয়েছে। জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকার না হলে টিকতে পারবে না। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাস করি, জনগণের জন্য কাজ করি, আমাদের অন্য কোনো স্বার্থ নেই। মানুষের যদি মঙ্গল করে থাকি, তাহলে নিশ্চয়ই তারা আমাদের সাহায্য করবে।