র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: র্যাবের ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় র্যাব-৫-এর মাঠপর্যায়ে কর্মরত ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ জন্য তাদের রাজশাহী ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে ডাকা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘জেসমিনকে আটকের অভিযানটি চালিয়েছিল র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল। এই অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১ জনকে জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে র্যাবের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনাটি র্যাব সদর দপ্তর তদন্ত করছে। তদন্ত কমিটি এখন রাজশাহীতেই অবস্থান করছে। মূলত তদন্ত কমিটি এই সদস্যদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানছেন। তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতার অংশ হিসেবেই তাদের রাজশাহী আনা হয়েছে।’ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা আবার কর্মস্থলে ফিরে যাবেন।
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। গত ২২শে মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
আটক অবস্থায় র্যাব সুলতানা জেসমিনকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে র্যাব পাহারায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।গত ২৪শে মার্চ তিনি মারা যান।
অন্যদিকে গত ২৩শে মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. এনামুল হক জেসমিন সুলতানার বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় জেসমিন সুলতানার ‘সহযোগী’ আল আমিনকে গত বুধবার ঢাকা থেকে আটক করে র্যাব।
জেসমিন সুলতানার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব বলছে, ৪৫ বছর বয়সী জেসমিনকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে তার মৃত্যু হয়।