শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র অসাম্প্রদায়িক মানবমুক্তির আলোকবর্তিকা: ধর্মসভায় বক্তারা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫তম সিলেট বিভাগীয় জন্মমহোৎসবে বক্তারা বলেছেন, অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোর দিগন্তে নিতে হলে সুমানুষ গঠনের ব্রতে থাকতে হবে।
সনাতনীদের যজন, যাজন ও ইস্টভৃতি করতে হবে বেশি বেশি করে। মানুষকে সুপথে নিয়ে আসতে একযোগে কাজ করা দরকার। প্রতি প্রত্যেক মানুষ সদগুরুর সাধনায় মগ্ন হলে পরিবার, সমাজ ও দেশ থেকে অন্যায়—অবিচার দূর হবেই। বক্তারা বলেন, শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র অসাম্প্রদায়িক মানবমুক্তির আলোকবর্তিকা। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবার, সমাজ এবং দেশ গঠনে সকলকে যে দীক্ষা দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় সিলেট নগরের পল্লবী আবাসিক এলাকা পনিটুলা লামারবাড়ি মাঠে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫তম জন্মমহোৎসব অনুষ্ঠানে ‘মানবকল্যাণে শ্রীশ্রী ঠাকুরের অমিয় বাণী ও দিব্য জীবনাদর্শ’ শীর্ষক ধর্মসভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, মানুষের মধ্যে সুশিক্ষার প্রভাব বিস্তারে নিরলস কাজ করা প্রয়োজন।
মানুষের চৈতন্যের উন্নতি দরকার। নৈতিক ও উত্তম চরিত্র গঠনে পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দিক নির্দেশনা মোতাবেক চলাচল করা বাঞ্চনীয়। পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী
ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আদর্শ ও বাণী মনে—প্রাণে ধারন করতে পারলে মমতা মাখানো পরিবার, সমাজ ও দেশ গঠন কঠিন কিছু হবে না। বক্তারা শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ‘ ‘ঈশ্বরের ডাক এসেছে, তাঁর কাজে তোর সঙ্গতি, যোগান দিয়ে ধন্য হ’তুই , হোক দলিত দুর্মতি’ উক্তি রেখে বলেন সময় নেই, তাই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
ধর্মসভায় সভাপতিত্ব করেন এসপিআর রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫তম সিলেট বিভাগীয় জন্মমহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট পংকজ দাস—এর পরিচালনায় ধর্মসভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভারতের দেওঘর থেকে আগত এসপিআর প্রকৌশলী দ্বিজেন মাইতি,
এসপিআর প্রদীপ চক্রবর্তী, অমিয় মৃধা যাজক, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সহ—সম্পাদক এসপিআর শ্রী সুব্রত আদিত্য, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসপিআর অমল চন্দ্র রায়, শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জন্মমহোৎসব কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিখিলেশ রায়, মৌলভীবাজার সৎসঙ্গের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল দাস,
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ—এর সহ—সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশেনের ৮নং ওয়ার্ডের তিনবারের সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাস, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ—এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান।
ধর্মসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫তম সিলেট বিভাগীয় জন্মমহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমনোজ কান্তি দাস চৌধুরী। ধর্মসভায় সকল অতিথিরা স্মারক গ্রন্থ ‘ইস্টায়নী’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.০১ মিনিটে সান্ধ্যকালীন সমবেত বিনতি প্রার্থনা, নামজপ ও অমিয় গ্রন্থাদি পাঠ, ৬.৩১ মিনিটে উৎসবের মঙ্গলঘট স্থাপন ও স্থানীয় মায়েদের পরিবেশনায় ধামাইল সঙ্গীত, রাত ৮.৩১ মিনিটে উৎসবের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার ভোর ৪.৩১ মিনিটে নহবৎ, ৫.০১ মিনিটে ঊষাকীত্তর্ন, ৫.৫৯ মিনিটে সমবেত বিনতি প্রার্থনা, নামজপ ও অমিয় গ্রন্থাদি পাঠ, সকাল ৭.০১ মিনিটে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় শ্রীশ্রী ঠাকুরের ভাবাদর্শে ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, ৯.০১ মিনিটে শ্রীশ্রী ঠাকুরের প্রতিকৃতিসহ নগর পরিক্রমা বের করা হয়,
বেলা ১১.০১ মিনিটে মাতৃসম্মেলন; আলোচ্য বিষয়—আদর্শ পরিবার ও সমাজ গঠনে মায়েদের ভূমিকা, ১১.৩১ মিনিটে বিনামূল্যে অ্যালোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়,
বেলা ১২.৩১ মিনিটে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় শ্রীশ্রী ঠাকুরের ভাবাদর্শে সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, ১.০১ মিনিটে ভাণ্ডারা মহাপ্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা ৬.০১ মিনিটে সান্ধ্যকালীন সমবেত বিনতি প্রার্থনা, নামজপ ও অমিয় গ্রন্থাদি পাঠ, ৬.৩১ মিনিটে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন দিপম লাল ও শাহনাজ বেলী। পরে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
জন্মমহোৎসব অনুষ্ঠানে সারাদিন দীক্ষাদান করা হয়। জন্মমহোৎসবে সর্বস্তরের শীষ্য, ভক্ত—অনুরাগীদের সরব উপস্থিতি থাকায় পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫তম সিলেট বিভাগীয় জন্মমহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট পংকজ দাস ও সাধারণ সম্পাদক শ্রীমনোজ কান্তি দাস চৌধুরী সবার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।