ময়মনসিংহে শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে: শেখ পরশ

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ‘২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণা করেন। এই বিভাগের মানুষ তাকে বরণ করার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। আমাদের ধারণা, এটিই হবে ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী জনসভা, যা আগে কেউ করতে পারেনি।’

সোমবার দুপুরে নগরীর টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মহানগর যুবলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘ময়মনসিংহের সাথে প্রধানমন্ত্রীর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ময়মনসিংহসহ আশপাশের জেলাগুলো আওয়ামী লীগের ঘাটি এবং এখানে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ না, তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ এদেশের আপামর জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে তারা পছন্দ করে না। তাদের সকল আক্রোশ, সকল হিংসা এদশের মানুষের জন্য।’

 

‘আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়েনের যোগ্যতা রাখে। এই যোগ্যতা শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যারই আছে। শেখ হাসিনা ছাড়া দক্ষতা-সক্ষমতা যোগ্যতা আর কারও নেই’,- বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, শেখ মনি ভাই বলতেন “মোনেম খানের আমলা দিয়ে শেখ মুজিবের শাসন চলে না “ -তেমনি খালেদা জিয়ার আমলা দিয়ে শেখ হাসিনার শাসন চলে না। যুবলীগ কখনো আত্মসম্পার্ণ করতে জানে না। মণি ভাই তার বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছেন। শেখ মণি মানেই প্রতিভা। চাঁদাবাজি করলে যুবলীগ হয় না, সন্ত্রাস করলে যুবলীগ হয় না, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ সেই সোনার মানুষ। তিনি আরও বলেন, শেখ পরশ যদি বাংলাদেশ চষে বেড়ায়, যুবজাগরণে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঘটবে।

 

বিএনপি-জামাতকে মোকাবিলা করতে শেখ পরশের যুবলীগই যথেষ্ট। ১১ মার্চ শেখ হাসিনা আসছে ময়মনসিংহে। এই ময়মনসিংহে সেদিন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করবে।

 

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ এনামুল হক খান, জুয়েল আরেং এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সোহেল পারভেজ, জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল,

 

সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ, কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন জেলা-মহানগর-উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।