সুরমা টাইমস ডেস্ক :
গত শুক্রবার (১৬ই মে) তাকে হরিয়ানার হিসার জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপারেশন সিঁদুর চলাকালে তথ্য পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরে শনিবার তাকে আদালতে তোলা হয়।
জ্যোতি ইউটিউবে ‘ট্র্যাভেল উইথ জো’ নামে একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ চ্যানেল চালাতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য তাদের হাতে তুলে দেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অভিযুক্ত জ্যোতি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং পাকিস্তানি অপারেটিভদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তাকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
হিসার পুলিশের মুখপাত্র বিকাশ কুমার বলেন, জ্যোতিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওই ইউটিউবারের নাম জ্যোতি মালহোত্রাকে (৩৩)। পুলিশ জানিয়েছে, ইউটিউবে জ্যোতি মালহোত্রার ৩ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি অনুসারী রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি।
দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তাকে ‘সংবেদনশীল তথ্য’ দেওয়ার পর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
জ্যোতিকে ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, জ্যোতি মালহোত্রার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আনা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং তার বিভিন্ন কনটেন্টের মাধ্যমে পাকিস্তানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরেছিলেন।
গত মার্চ ও এপ্রিলে নিজের পাকিস্তান ভ্রমণের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন জ্যোতি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জ্যোতি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে পর্যটন ভিসার জন্য পাকিস্তান হাইকমিশনের গিয়েছিলেন তিনি।
তখন দিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তা এহসান–উর–রহিমের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। পরে তিনি ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন জ্যোতি।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, পাকিস্তানে গিয়ে এহসান–উর রহমানের প্ররোচনায় আলী এহসান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতি।
তিনি আবার জ্যোতিকে পাকিস্তানের দুজন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করান। সন্দেহ এড়াতে তাদের একজনের নাম নিজের মুঠোফোনে ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করে জ্যোতি।
পরে ওই তিনজনের কাছে ভারতসংক্রান্ত ‘সংবেদনশীল তথ্য’ সরবরাহ করেন তিনি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ মে এহসান-উর-রহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ভারত সরকার।
তার বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। এরপর তাকে অবিলম্বে ভারত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।