সুরমা টাইমস ডেস্ক :
ভালোবাসার মানুষকে পেতে দিপক দাস (২৫) নামের এক হিন্দু যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেছেন উম্মে হাবিবা (১৯) নামের এক তরুণীকে। দিপক নাম পরিবর্তন করে মো. আদিল মাহমুদ রেখেছেন।
গত সোমবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের বোরহান উদ্দিন ও লাইজু আক্তার দম্পতির মেয়ে উম্মে হাবিবা।
অপর দিকে একই এলাকার ঝাউতলা গ্রামের কিরণ দাস ও রেণু দাসের ছেলে দিপক দাস। দিপক স্থানীয় উপজেলা পরিষদে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত আছেন।
সম্পর্ক গড়ে ওঠায় তাঁরা দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত শনিবার তাঁরা দুজনে ঢাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে গত রোববার আদালতে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
এদিকে উম্মে হাবিবার পরিবার পুলিশের সহায়তায় রোববার রাতে তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে কালকিনি থানায় নিয়ে আসেন।
পরে হাবিবার পরিবার বিয়ের স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদেরকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আজ দুপুরে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী পুনরায় তাঁদের বিয়ে দেন। এ সময় দিপক দাস নিজ নাম পরিবর্তন করে মো. আদিল মাহমুদ রাখেন।
জানতে চাইলে হাবিবার মা লাইজু আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দিপককে আমাদের বাড়িতে আনার পর ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক তাকে কালেমা পড়ানো হয়েছে এবং ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী আমরা আবার বিয়ে দিয়েছি।’
দিপকের বড় ভাই বিপ্লব বলেন, ‘আমার প্রাপ্তবয়স্ক ছোট ভাই দিপক স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেছে।’ দিপক বলেন, ‘আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে উম্মে হাবিবাকে বিয়ে করেছি। এখন আমার নাম মো. আদিল মাহমুদ।’
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা বলেন, অভিযোগ পেয়ে উম্মে হাবিবা ও দিপককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাঁদের দুজনকে ওই মেয়ের পরিবার নিয়ে গেছে।
ইউএনও উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘নোটারির মাধ্যমে দিপক ধর্মান্তরিত হয়ে ওই তরুণীকে বিয়ে করেছে বলে জানতে পেরেছি।’