সিরিয়ায় নিখোঁজ মানুষের খবর জানতে আইনজীবী নিয়োগ করলো জাতিসংঘ

সুরমা টাইমস ডেস্ক : সিরিয়ার নিখোঁজ মানুষের খবর জানতে মেক্সিকোর এক আইনজীবী নিয়োগ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুঁতেরা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, সিরিয়ায় হাজার হাজার লোক নিখোঁজ এবং জোরপূর্বক যাদের গুম করা হয়েছে তাদের নিয়তি জানতে একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রধান হিসেবে তিনি মেক্সিকোর ন্যাশনাল সার্চ কমিশনের সাবেক প্রধানকে নিয়োগ দিচ্ছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, যারা অনিশ্চয়তার কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন আমরা তাদের সহযোগিতা করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। এ খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের জুন মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সিরিয়ায় নিখোঁজ লোকদের ব্যাপারে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠন করে। তাদের বাধ্যতামূলক কাজ হচ্ছে সিরিয়ার সকল নিখোঁজ লোকের অবস্থান ও তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা বের করা করা এবং যারা বেঁচে গেছেন এবং নিখোঁজদের পরিবারসহ সকল ভুক্তভোগীকে সহায়তা প্রদান করা। গুঁতেরা সংবাদদাতাদের বলেন, আমি আজ মেক্সিকোর কার্লা কুইয়ান্টানাকে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করছি। তিনি এবং তার টিমকে তাদের দায়িত্ব পুরোদমে পালন করতে দিতে হবে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত কুইন্টানা মেক্সিকোতে নিখোঁজ লোকজনের জন্য প্রতিষ্ঠিত কমিশনের জাতীয় কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন। সেখানে প্রধানত সংগঠিত অপরাধের কারণে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি লোক নিখোঁজ হওয়ার তালিকায় ছিলেন। মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ও অধ্যাপিকা, ৪৬ বছর বয়সী কুইন্টানার সামনে বিশাল কাজ রয়েছে। দ্য সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস বা এসএনএইচআর বলছে, ২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে এক লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। প্রসঙ্গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের সময় থেকে দেশের অনেক স্থানে কারাগারের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে এবং হাজার হাজার বন্দি মুক্ত হয়েছে। গণকবরও পাওয়া গেছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তাদের হাজার হাজার প্রিয়জনের বিষয়ে জানতে চাইছেন যাদের এখনও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে এসএনএইচআর-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ফাদেল আব্দুল গণি বলেন এখনও এক লাখ পাঁচ হাজার লোকের হিসেব পাওয়া যায়নি এবং সংগঠনটি মনে করে তাদের মধ্যে ‘অধিকাংশই’ বেঁচে নেই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।