ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রদান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে শুভেচ্ছা বার্তা প্রকাশ করা হয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আপনার তত্ত্বাবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নতি করবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাসের উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনার আগের মেয়াদে এ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। আমি আমাদের অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করতে ও টেকসই উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের অংশীদারত্বের অফুরন্ত নতুন সম্ভাবনা আছে,’ যোগ করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের জন্য বাংলাদেশের সরকার ও শান্তিপ্রিয় জনগণ শান্তি, সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির সাধনায় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার অপেক্ষায়।
আপনার মহান জাতির নেতৃত্বের এই গুরুত্বপূর্ণ যাত্রা শুরু করার সময় আপনার সাফল্যের জন্য আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।’
বাংলাদেশের সঙ্গে ইউএস এর ইতোমধ্যে ভালো সম্পর্ক আছে। আগস্ট বিপ্লবের পর সেটি ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। কারণ ইউএস চায় সারা বিশ্বের দেশগুলো যেন গণতন্ত্রের চর্চা করে। ওরা দেখছে আগের ১৫ বছর যে স্বৈরশাসক ছিল সে জায়গায় বর্তমানে যে সরকারটা এসেছে তারা চাচ্ছে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক পথে নিয়ে যেতে।
সে দিক থেকে ইউএস আরও উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করছি ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বও রয়েছে। আশা করছি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গভীর হবে।