আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের স্যাংশন পাওয়া উচিত : কাদের সিদ্দিকী

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, ‘সংলাপ বিষয়ে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তিনটা দলকে পৌঁছে দিয়েছেন।

বাংলাদেশে আর কোনো দল নেই? তিনিই তিনটা দলকে চিঠি দিয়ে ভাগ করে ফেলেছেন, দেশকে বিভক্ত করেছেন। এটা গর্হিত কাজ।

এ জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তাঁর স্যাংশন পাওয়া উচিত।’

নির্বাচন আমাদের দেশের। আমরা আমেরিকায় বাস করি না, বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করব নাকি বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে নাকি ছেলের বিয়ে করাব- এই চিন্তাভাবনা করা উচিত নয়।’

আজ শুক্রবার টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আজ আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সে প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তিনি (পিটার হাস) তিনটা দলকে চিঠি (পৌঁছে) দিয়েছেন। বাংলাদেশে আর কোনো দল নেই? তিনিইতো তিনটা দলকে চিঠি দিয়ে ভাগ করে ফেলেছেন, দেশকে বিভক্ত করেছেন। এটা গর্হিতকর অন্যায়। এজন্য তার স্যাংশন পাওয়া উচিত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে।’

তিনি বলেন, ‘তাঁরা যে তিনটা দেশকে চিঠি দিয়েছেন এটা দেশের সংবিধান অনুসারে, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তিনি জঘন্য অপরাধ করেছেন। এজন্য তাকে আইনের আওতায় নেওয়া যেতে পারে।’

 

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের ছোট দেশ বিধায়, গরিবের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি আমাদের সঙ্গে করবেন, এটা হতে পারে না। এটা চলতেই পারে না। কোনো বিদেশির এইভাবে দৌড়ঝাঁপ করার কোনো সুযোগ ছিল না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করবেন কি না- এমন প্রশ্নে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, ‘আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করি তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে? বিএনপি নির্বাচনে নেই, জাতীয় পার্টিও টানাটানি করছে। আমরাও আওয়ামী লীগের সাথে গিয়ে যদি জোট বাঁধি, তাহলে মানুষ ভোট দেবে কাকে? মানুষের ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হয়ত তিনশ আসনে প্রার্থী নাও দিতে পারি। আমাদের সেই প্রস্তুতি নেই, আমরা অত বড় দলও না। কিন্তু আমরা অনেক আসনে প্রার্থী দেব। অন্য দলের লোকজনকেও আমাদের দল থেকে গামছা মার্কা উপহার দেব।’

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপিতে মুসলমান আছে কি না আমি জানি না। আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না। ইসরায়েল যেভাবে গাজার ওপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের অত্যাচার করছে, বৃদ্ধ-শিশুকে হত্যা করছে, এই অবস্থায় আমেরিকার পক্ষে পৃথিবীর একটি মানুষেরও দাঁড়ানো উচিত না।’

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।